হংকংয়ে উত্তপ্ত নাগরিক সংলাপ, তোপের মুখে ক্যারি লাম

ডেস্ক নিউজ | ০৭:১৬ মিঃ, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৯



হংকংয়ের সরকারি কর্তৃপক্ষের আয়োজনে এক নাগরিক সংলাপে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টির হয়েছে। সংলাপে অংশগ্রহণকারী নাগরিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের মুখে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় টাউন হল স্টেডিয়ামে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। খবর হংকং ফ্রি প্রেসের।

এর আগে, টানা ১৬ তম সপ্তাহে চলমান সরকার বিরোধী আন্দোলনের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো আয়োজন করা নাগরিক সংলাপে অংশ নিতে গিয়ে টানা দুই ঘন্টা অবরুদ্ধ হয়ে থাকেন ক্যারি লাম। তারপর সংলাপ স্থলে উপস্থিত হয়ে তিনি বলেন, হংকংয়ের এমন অবস্থায় তার কাঁধে অনেক দায়িত্ব, তিনি কোনোভাবেই এই দায়িত্ব অবহেলা করতে পারেন না।

এই সংলাপে উপস্থিত হওয়ার জন্য প্রায় ২০ হাজার নাগরিক আবেদন করেছিলেন। তাদের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে ১৫০ জনকে বাছাই করে এই সংলাপে উপস্থিত হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তাদের মধ্য ৩০ জন নাগরিক ওই সংলাপে কথা বলার সুযোগ পান। তাদের মধ্যে ২৪ জনই সরকার তথা ক্যারি লামের কড়া সমালোচনা করেন, ২ জন নিরপেক্ষ বক্তব্য দেন আর ৪ জন ক্যারি লামের প্রশাসনের পক্ষ অবলম্বন করেন। যদিও উপস্থিত নাগরিকের তাৎক্ষণিকভাবে প্রশ্ন করতে পেরেছেন। সেসব প্রশ্নে হংকংয়ের রাস্তার উত্তাপ থাকলেও সামগ্রিকভাবে পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণই ছিল।

 

প্রসঙ্গত, বন্দি প্রত্যর্পন বিল বাতিলকে কেন্দ্র করে হংকংয়ে শুরু হওয়া আন্দোলন বর্তমানে পাঁচ দফার সরকার বিরোধী আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। এই পাঁচ দফার অন্যতম আন্দোলনে পুলিশের বর্বরোচিত হামলার ব্যাপারে স্বাধীন কমিশন গঠন করে তদন্তের ব্যবস্থা করা।

যদিও মাত্র ১৫০ জন নাগরিক সংলাপে অংশ নেওয়ার সুযগ পেয়েছিলেন। কিন্তু সংলাপস্থলের বাইরে জড়ো হয়েছিলেন হাজার হাজার নাগরিক। তারা তাদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে স্টেডিয়ামের বাইরে শ্লোগান দিতে থাকেন।

ক্যারি লাম তার বক্তব্যের সময় উপস্থির দর্শকের কাছ থেকে কোনো ধরনের সহানুভূতিই পাননি। বরং তার আন্দোলন বিরোধী বক্তব্যের সময় উপস্থিত দর্শকরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং তাকে দুয়ো ধ্বনি দেন।

উপস্থিত একজন নারী তার চেহারা সার্জিকাল মাস্কে ঢেকে বলেন, পুলিশ সরকারের রাজনৈতিক অস্ত্রে পরিণত হয়েছে। এই মুহুর্তে সরকারের কাছে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করার কোন ব্যবস্থাই নাই।

সংলাপে উপস্থিত আরেকজন বলেন, পুলিশের ওপর থেকে সবাই আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।

সংলাপে উপস্থিত আরেক নাগরিক বলেন, পুলিশ এখন পুরো পরিস্থিতি যেখানে এনে দাঁড় করিয়েছে সেখান থেকে এই সমস্যা কেবলমাত্র রাজনৈতিকভাবেই সমাধান করা যায়। আর কোনো পথ নেই।

নাগরিকদের পক্ষ থেকে ক্যারি লামকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে, তিনি নাগরিকদের কথা শুনতে চাইছেন অথচ নাগরিকরা তিনমাস ধরে রাস্তায় তাদের কথাই বলে আসছেন কিন্তু তিনি তা শুনতে পাচ্ছেন না।

সংলাপস্থলে তেমন পুলিশের উপস্থিতি না থাকলেও আশেপাশেই প্রায় তিন হাজার পুলিশ প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। এছাড়াও আন্দোলনকারীদের ঠেকানোর জন্য পুলিশ কাঁদানে গ্যাস এবং প্লাস্টিকের ব্যারিকেড ঐ সংলাপস্থলেই মজুদ রেখেছিল।

মন্তব্যঃ সংবাদটি পঠিত হয়েছেঃ 16082 বার।




সর্বশেষ আপডেট

বিএসএমএমইউ-তে চিকিৎসার ব্যাপারে আরও সময় চান খালেদা এরা কী আন্দোলন করবেন, সবাই তো মঞ্চে ঘুমাচ্ছিলেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল চান ড. কামাল নিউইয়র্ক পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী চার হাজার মামলার কারণ জানতে চেয়ে রিট গায়েবি মামলায় ২২ দিনে আসামি ৩ লাখ ২৫ হাজার : রিজভী ১০ জেলায় নতুন ডিসি ধানের শীষ জনগণের কাছে বিষ : কাদের মংলা-বুড়িমারী বন্দরে শতভাগ দুর্নীতি : টিআইবি আসন বাড়লেও কমেছে এমবিবিএস ভর্তিচ্ছুর সংখ্যা! পাক-ভারত সেনাবাহিনীর মধ্যে ফের উত্তেজনা, পাল্টাপাল্টি হুমকি বিএনপি পার্টিটাই ভুয়া : কাদের ‘ব্যক্তিগতভাবে আমার চাওয়া-পাওয়ার কিছুই নেই’ ইরানে সামরিক কুচকাওয়াজে হামলা, নিহত বেড়ে ২৪
Designed & Developed by TechSolutions Bangladesh