ট্রাম্পের সাথে কথা বলে নিজের সময় নষ্ট করতে চাননি গ্রেটা
ডেস্ক নিউজ: | ০৯:২৯ মিঃ, জানুয়ারি ১, ২০২০
সুইডেনের পরিবেশকর্মী গ্রেটা থানবার্গ বলেছেন, ‘বৈশ্বিক উষ্ণতা ইস্যুতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে কথা বলার অর্থ হচ্ছে সময় নষ্ট করা। এজন্য জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলে আমি আমার সময় নষ্ট করতে চাইনি।’
রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। গত সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিবিসির রেডিও টুডে-তে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পকে কটাক্ষ করে এ কথা বলে গ্রেটা থানবার্গ।
‘ট্রাম্পের সঙ্গে কখনও কথা হলে তাকে কী বলবেন?’ এমন এক প্রশ্নের জবাবে গ্রেটা থানবার্গ বলেন, ‘আমি মনে করিনা যে, তাকে আমার কিছু বলতেই হবে। জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোনো মাথাব্যথাই নেই। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর দিক নিয়ে বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞদের কথাই যিনি শোনেননি, তাকে নতুন করে আমার কিছু বলার নেই। তাই এ বিষয়ে তার সাথে কথা বললে সেটা অনর্থক সময় অপচয় ছাড়া আর কিছুই হবেনা।’
বিশ্বব্যাপী জলবায়ুর নেতিবাচক পরিবর্তনের ব্যাপারে বিজ্ঞানীদের বিশ্লেষণে আস্থা রাখেন না বলে বারবার জানিয়ে আসহেন ট্রাম্প। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে প্যারিসে হওয়া বৈশ্বিক উষ্ণতা সংক্রান্ত চুক্তি থেকেও বেরিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা। এ নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের মুখে ট্রাম্প। গ্রেটা থানবার্গসহ বিশ্বব্যাপী জলবায়ুকর্মী ও পরিবেশবাদীরাও এ ব্যাপারে ক্ষুব্ধ।
সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের ওই জলবায়ু সম্মেলনে ট্রাম্পের দিকে ক্ষোভের সঙ্গে তাকালেও, তার সঙ্গে কোনো প্রকার আলাপ-আলোচনা বা কথাবার্তায় যায়নি গ্রেটা।
এর আগে বিভিন্ন সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট গ্রেটার সমালোচনা করেছেন। গ্রেটাকে অসহিষ্ণু উল্লেখ করে টুইটারে তিনি এও লেখেন- ওর উচিত কীভাবে রাগ নিয়ন্ত্রণ করা যায় তার ওপর কাজ করা।
শুধু ট্রাম্প নয়, বিভিন্ন সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা গ্রেটাকে গালমন্দ করেছে। গত ডিসেম্বরেই ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জায়ের বোলসোনারো তাকে হেয় করে ‘ছুঁড়ি’ বলে সম্বোধন করে।
এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে এ গ্রেটা বলে, ওইসব আক্রমণ আসলে হাস্যকর, কারণ ওগুলো কোনো অর্থ বহন করে না। কিছু অর্থ অবশ্য বহন করে, আর তা হলো- তারা আতঙ্কিত যে তরুণরা এমন সব বদল আনছে, যা তারা চায় না। ফলে তারা আমাদের এক ধরনের হুমকি মনে করে।
মন্তব্যঃ সংবাদটি পঠিত হয়েছেঃ 15938 বার।