ঢাকা, শুক্রবার, এপ্রিল ১৯ ২০২৪,

এখন সময়: ০৮:৪৯ মিঃ

জিয়া মুক্তিযোদ্ধা হলে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করতেন

ডেস্ক নিউজ: | ০৭:৪৩ মিঃ, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২১



জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের বিচার করতেন বলে মন্তব্য করেছেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। সংসদ অধিবেশনে বিল পাসের প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড ও ওই ঘটনার বিচার কার্যক্রম বন্ধে ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি’র বিষয়টি নিয়ে বিএনপির সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশিদের বক্তব্যের জবাবে তিনি একথা বলেন।

০৪ সেপ্টেম্বর শনিবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপিকে আমার প্রশ্ন, যদি খুনি জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা হতেন; কেউ কি তার হাতটা চেপে ধরেছিল যে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করা যাবে না? কেউ কি তার হাতটা চেপে ধরেছিল যে ২৬ সেপ্টেম্বর এই ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স পাস করা হয়েছে, এই অর্ডিন্যান্স বাতিল করা যাবে না? এরকম তো কেউ করেনি। উনি এই বিচারটা করলেন না কেন? তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আপনারা বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা হিসেবে গ্রহণ না করবেন, ততক্ষণ তর্ক-বিতর্ক বন্ধ হবে না। আপনারা গ্রহণ করেন, আর না করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তাতে কিছু যায় আসে না। তার কারণ তিনি সত্যি সত্যিই জাতির পিতা। বাঙালি জাতি সেটা জানে এবং বাঙালি জাতি সেটা ধরে রাখবে। সেখানে এই বিতর্ক চলবেই, যতক্ষণ পর্যন্ত বাংলাদেশের রাজনীতিকে পাকিস্তানীকরণে বিএনপির যে উদ্দেশ্যে ছিল, সেটা ধুয়ে মুছে শেষ হয়ে না যাচ্ছে।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, এই সংবিধান বলেন, আর সংবিধান যদি নাও ধরেন, এইটা জনগণের সিআরপিসিতে অধিকার। কোর্ট অফ ক্রিমিনাল প্রসিজিউরেও অধিকার যে একটা হত্যাকাণ্ড যদি সংঘটিত হয় বা একটা অপরাধ যদি সংঘটিত হয়, সে থানায় গিয়ে একটা এজাহার দায়ের করতে পারে। সেই অধিকারটুকুও হরণ করে নিয়েছিলেন ২১ বছর, এটাও কারেক্ট করেননি। আর আজকে আপনি বিএনপির সংসদ সদস্য হয়ে বলছেন যে এই তর্ক-বিতর্ক বন্ধ হোক।

আইনমন্ত্রী বলেন, উনি (হারুনুর রশীদ) বললেন যে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ১৫ আগস্ট সম্পর্কে শোকের মাসের যে আলোচনা সভা সেখানে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরা কোথায় ছিল? প্রধানমন্ত্রী তো এই সৎ সাহস দেখিয়েছেন যে তিনি এটা প্রশ্ন করেছেন। তার মানেই তিনি এটা কগনিজেন্সি নিয়েছেন। সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বিএনপির ব্যাপারে যেটা বলছেন, সেটা যদি সত্য হতো তাহলে আমি খুশি হতাম।

আনিসুল হক বলেন, সেদিন সুপ্রিমকোর্ট বার এসোসিয়েশনের এখন যে সম্পাদক, তিনি বিএনপি সমর্থিত একজন ভালো ক্যাডার। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, কালুরঘাটে সেদিন যদি খুনি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিতো এবং যদি গুলি না করতো পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর ওপরে তাহলে স্বাধীনতা কোথায় থাকতো সেইটা তিনি উল্লেখ করেছেন। ইতিহাস নাকি অন্যরকম হতো। যারা এখনো স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে আমরা যেখানে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছি, সেখানে যারা এরকম মিথ্যা কথা বলার ধৃষ্টতা দেখায় তাদের কি কোনও পরিবর্তন হয়েছে বলে কেউ মনে করবে?

মন্তব্যঃ সংবাদটি পঠিত হয়েছেঃ 511 বার।




সর্বশেষ আপডেট

বিএসএমএমইউ-তে চিকিৎসার ব্যাপারে আরও সময় চান খালেদা এরা কী আন্দোলন করবেন, সবাই তো মঞ্চে ঘুমাচ্ছিলেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল চান ড. কামাল নিউইয়র্ক পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী চার হাজার মামলার কারণ জানতে চেয়ে রিট গায়েবি মামলায় ২২ দিনে আসামি ৩ লাখ ২৫ হাজার : রিজভী ১০ জেলায় নতুন ডিসি ধানের শীষ জনগণের কাছে বিষ : কাদের মংলা-বুড়িমারী বন্দরে শতভাগ দুর্নীতি : টিআইবি আসন বাড়লেও কমেছে এমবিবিএস ভর্তিচ্ছুর সংখ্যা! পাক-ভারত সেনাবাহিনীর মধ্যে ফের উত্তেজনা, পাল্টাপাল্টি হুমকি বিএনপি পার্টিটাই ভুয়া : কাদের ‘ব্যক্তিগতভাবে আমার চাওয়া-পাওয়ার কিছুই নেই’ ইরানে সামরিক কুচকাওয়াজে হামলা, নিহত বেড়ে ২৪
Designed & Developed by TechSolutions Bangladesh