রোহিঙ্গাদের ফেরতে সংসদীয় কূটনীতিকে কাজে লাগাতে চান স্পীকার
সংবাদ প্রতিনিধি | ১২:১৩ মিঃ, নভেম্বর ৪, ২০১৭
রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে সংসদীয় কূটনীতিকে কাজে লাগাতে চান বলে জানিয়েছেন সিপিএ চেয়ারপারসন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এদিকে, সম্মেলনে সদস্য দেশগুলোর সংসদকে দুর্নীতি প্রতিরোধে আরও সক্রিয় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যদের বড় ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে বলে মনে করেন সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী সংসদ সদস্যরা।
গত ৩ নভেম্বর রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে এ বিষয়ে তিন দফা সুপারিশ করা হয়েছে। সেখানে দুর্নীতি প্রতিরোধে বিভিন্ন ধরনের কমিশন গঠন, সংসদীয় স্থায়ী কমিটি শক্তিশালী করা ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। সম্মেলনের অপর এক বৈঠকে নারীর ক্ষমতায়নে ধারাবাহিক কর্মসূচি রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণসহ নানা ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। এই সম্মেলন থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে সংসদীয় কূটনীতিকে কাজে লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন সিপিএ চেয়ারপারসন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
সম্মেলন চলাকালে হোটেল রেডিসন ব্লু'র মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেসব্রিফিং-এ ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, "সিপিএ'র সদস্য দেশগুলোর সংসদে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা ও জনমত সৃ্ষ্টিতে সংসদীয় কূটনীতি সহায়ক হবে। এ জন্য আগামী ৫ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সিপিসিতে আগত সকল অতিথিদের উপস্থিতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী একটি বিশেষ সংবাদ সম্মেলন করবেন। যেখানে রোহিঙ্গা সমস্যার সর্বশেষ তথ্য এবং কীভাবে এ সমস্যার দ্রুত স্থায়ী সমাধান করা যায় সে বিষয় তুলে ধরা হবে।
সমস্যা সমাধানে সদস্য দেশগুলো সংসদ ও সংসদ সদস্যদের সহায়তাও চাওয়া হবে। এ ছাড়া বিষয়টি সম্মেলনের ৬ষ্ঠ দিনে 'হোয়াটস ফ্যাক্টরস ফয়েল দি রাইচ অব ডিফারেন্ট কাইন্স অব ন্যাশনালিটি'-তে উথাপন করা হবে।
স্পিকার আরও বলেন, "রোহিঙ্গা ইস্যুটি বর্তমানে কেবলমাত্র বাংলাদেশের সমস্যা নয়, এটি একটি আঞ্চলিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়ে জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেছেন। সেটি বিশ্ব জনমত তৈরিতে সক্ষম হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ব নেতাদের অধিকাংশ একমত হয়েছেন। " তিনি আরও বলেন, "সিপিসিতে অংশগ্রহণকারী সংসদ সদস্যরা সম্মেলন শেষে নিজ নিজ দেশের সংসদে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে পারবেন। যাতে বিশ্ব জনমত গঠনে সহায়ক হবে। "
মন্তব্যঃ সংবাদটি পঠিত হয়েছেঃ 16208 বার।