অনিয়ম-দুর্নীতিকে কখনোই প্রশ্রয় দেবো না
ডেস্ক নিউজ | ০৯:১৮ মিঃ, জুলাই ৯, ২০১৯
সরকার বিনা পয়সায় আমাকে চাকরি দিয়েছে। আমি সততার সঙ্গেই আমার পেশাগত দায়িত্ব পালন করবো। অনিয়ম-দুর্নীতিকে কখনোই প্রশ্রয় দেবো না’ সরকারি চাকরি পাওয়ার পর এভাবেই নিজের অভিব্যক্তি ব্যাক্ত করেন ফারজানা আক্তার সুমি।
সোমবার (০৮ জুলাই) রাত ৯ টায় ময়মনসিংহ পুলিশ লাইন্সে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে ফলাফল ঘোষণার করা হয়।
চাকরি পাওয়ার সুখবর পেয়ে ময়মনসিংহ পুলিশ লাইন্সের ডায়াসের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলতে গিয়ে আনন্দে কেঁদে ফেলেন ফারজানা আক্তার সুমির বাবা রিকশা চালক ওমর ফারুক (৪৫)। তিনি বলেন,‘আমাদের মতো গরিব সন্তানের সরকারি চাকরি হবে এটা বিশ্বাসই হচ্ছিল না। আমার মেয়েটার ঘুষ ছাড়াই চাকরি হয়েছে। গর্বে বুকটা ভরে যাচ্ছে। আজ আমার খুশির দিন।’ এতোদিন জানতাম সরকারি চাকরি মানেই কাড়ি কাড়ি টাকা নয়তো মামা-চাচার জোর। আর পুলিশে চাকরির জন্য তো ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা দেওয়ার সামর্থ্য না থাকলে কথাই নেই। আজ সবকিছু ভুল প্রমাণ হলো।
ময়মনসিংহ পুলিশ লাইন্সে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) শাহ আবিদ হোসেন। নিজেদের মেধা ও যোগ্যতায় ২৫৭ জন প্রার্থী মাত্র ১০০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেয়েছেন।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) শাহ আবিদ হোসেনেএক সংবাদ সম্মেলন করে জানান, ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে ৬ হাজার ২৮০ জন পরীক্ষার্থী শারীরিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় ২ হাজার ৩৬৮ জন লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়। পরে লিখিত পরীক্ষায় পাস করে ৪৫২ জন। এর মধ্যে থেকে ২৫৭ জন চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের ইতিহাসে এ পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ নজিরবিহীন ঘটনা। প্রধামন্ত্রীর নির্দেশে আইজিপি মহোদয় শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে এ নিয়োগ সম্পন্ন করার জন্য কঠোরভাবে আমাদের নির্দেশনা দিয়েছিলেন। আমরা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গেই এ দায়িত্ব পালন করেছি।
মন্তব্যঃ সংবাদটি পঠিত হয়েছেঃ 16137 বার।